আল-কুরআন এর মৌলিক বিষয়


আল্লাহ রব্বুল আল-আমীন তার শেষ নবীকে কিতাব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তিনটি বিষয় দিয়ে।

(১) হেদায়েত (পথ নির্দেশনা)
(২) সত্যদ্বীন (জীবন-বিধান)
(৩) জিহাদ (সত্যদ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম)

তিনিই তাঁর রসূলকে হেদায়েত ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত ধর্মের উপর জয়যুক্ত করেন। সত্য প্রতিষ্ঠাতারূপে আল্লাহ যথেষ্ট। (সুরা ফাতাহ ২৮)

নূরানী পদ্ধতিতে বাংলায় ২৭ ঘণ্টায় কুরআন শিখুন


তাহলে আর দেরী কেন ? কুরআন শিক্ষার বই ডাউনলোড করতে বা অনলাইনে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ইসলামে চিকিৎসা ও ওষুধ




একজন মুসলমান হিসেবে আমরা যদি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আল-কুরআন এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনে বলেছেন, “আমি কোরআনে এমন বস্তু নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য নিরাময় ও রহমত।” (সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ৮২)

বন্ধু

বন্ধু কে হতে পারে?
যে বন্ধুর সুখ-দুঃখকে ভাগ করে নেয়;
বন্ধুর মুখের হাসির জন্য
নির্দিধায় নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়।

আপনার শিশুকে টিকা দিতে চান? তার আগে সত্য জানুন!



^Happy^ Not Listening At Wits' End

টিকার যতগুলো মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে, তার মধ্যে একটি হলো ‘সাডেন ইনফেন্ট ডেথ সিনড্রোম’ বা শিশুর হঠাৎ মৃত্যু (SIDS-Sudden Infant Death Syndrome)। বেশ কিছু রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য বা রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টির জন্য আমরা অনেকেই এলোপ্যাথিক টিকাগুলো নিয়ে থাকি। যেমন-বিসিজি, ডিপিটি, এমএমআর, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি। অথচ টিকার (vaccine) মারাত্মক ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই খবর রাখি না। টিকার ক্রিয়াকৌশল হলো অনেকটা ‘কাটা দিয়ে কাটা তোলা’ কিংবা ‘চোর ধরতে চোর নিয়োগ দেওয়া’র মতো। যে রোগের টিকা আমরা নিয়ে থাকি, সেটি বস্তুত তৈরী করা হয়ে থাকে সেই রোগেরই জীবাণু থেকে। অর্থাৎ যে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস যে-ই রোগের সৃষ্টি করে থাকে, সেই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থেকেই সেই রোগের টিকা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে নাকি নানাবিধ জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘দুর্বল’ করে টিকা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। টিকা মুখে খাওয়ানো হউক বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হউক, সবগুলোই এই তথাকথিত ‘দুর্বল’ কিন্তু জীবিত জীবাণু দিয়ে তৈরী করা হয়। এসব ভয়ানক ক্ষতিকর জীবাণুকে ‘দুর্বল’ করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করে একই সাথে বিখ্যাত এবং পরবর্তীতে কুখ্যাত হয়েছিলেন ফ্রান্সের বিজ্ঞানী ‘লুই পাস্তুর’। কেননা লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত জলাতঙ্কের টিকা নিয়েই বরং বিপুল সংখ্যক লোক জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। দাবী করা হয়ে থাকে যে, জীবাণুদের এই ‘দুর্বলতা’ একটি স্থায়ী বিষয়; কাজেই তারা কখনও শক্তিশালী হতে পারে না এবং কোন ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু নিরপেক্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, কারো শরীরে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে জীবাণুরা ঠিকই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এবং ভয়ঙ্কর ক্ষতিসাধন করতে পারে। বাস্তবে এমন ভুড়িভুড়ি প্রমাণ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে (বাংলাদেশে) এমন ঘটনা ঘটেছে।


মহাবন্ধু

জগৎ  সংসার তন্ন তন্ন করে
পৃথিবীর মহাকালের পরতে পরতে
আমি এক বন্ধু খুজি, হাজার বন্ধুর ভীড়ে।
যে বন্ধু আমায় সত্য ও সুন্দরের পথ দেখাবে
যে বন্ধু আমায় চির মুক্তির পথ বাতলাবে
আমি প্রতীক্ষায় আছি সে মহাবন্ধুর তরে।।

পুরুষের পোষাক পড়ার ইসলামী বিধান



আবু যর (রাঃ) বলেন, রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম- বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সাথে কথা তো বলবেনই না বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না, এমনকি তিনি তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি | আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? তবে এরা তো ধ্বংশ, তাদের বাঁচার কোন রাস্তা নাই | রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- এ কথা তিনবার বলেছেন | তারা হলঃ
১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে |
২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে ব্যাবসার পণ্য বিক্রি করে |
৩) যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয় । (মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইব্ন মাজাহ্)|


আবু হুরায়রা (রাঃ)নবী -সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- থেকে বর্ণনা করে বলেন, “পোষাকের যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা আগুনে প্রজ্জলিত হবে|” (বুখারী)

সলাত / নামাজের মধ্যকার অত্যন্ত ফজিলাতপূর্ণ কিছু দোয়া

সলাত / নামাজের মধ্যকার অত্যন্ত ফজিলাতপূর্ণ কিছু দোয়া

    রুকু থেকে উঠার পর ’রব্বানা অলাকাল হাম্দ’ পড়ার পর যে দোয়া পড়তে হয় ঃ
    হামদাং, কাছিরং, তৈয়েবান, মুবারকাং ফি-হি।

    দুই সেজদার মাঝে বসে পড়ার দোয়াঃ
    আল্লাহুম্মাগ ফিরলী, অরহামনী, অ-ইহদ্বিনী, অ-আফিনি, অর-যুকনী

হাদিস এর ইতিহাস

বতীয় প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তা’আলার জন্য। সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর।

হাদীস শরীফ মুসলিম মিল্লাতের এক অমূল্য সম্পদ, ইসলামী শরই’আতের অন্যতম অপরিহার্য উৎস এবং ইসলামী জীবন বিধানের অন্যতম মূল ভিত্তি। কুরআন মজীদ যেখানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার মৌলনীতি পেশ করে, হাদীস সেখানে এ মৌল নীতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তা বাস্তবায়নের কার্যকর পন্থা বলে দেয়। কুরআন ইসলামের আলোকস্তম্ভ, হাদীস তাঁর বিচ্ছুরিত আলো। ইসলামী গান-বিজ্ঞানে কুরআন যেন হৃদপিণ্ড, আর হাদীস এ হৃদপিণ্ডের সাথে সংযুক্ত ধমনী। জ্ঞানের বিশাল ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তাজা তপ্ত শোণিতধারা প্রবাহিত করে এর অঙ্গ-প্রতঙ্গকে অব্যাহতভাবে সতেজ ও সক্রিয় রাখে। হাদীস একদিকে যেমন কুরআনুল আযীমের নির্ভুল ব্যাখ্যা দান করে, অনুরূপভাবে তা পেশ করে কুরআনের ধারক ও বাহক নবী করীম (সঃ)-এর পবিত্র জীবনচরিত, কর্মনীতি ও আদর্শ এবং তাঁর কথা ও কাজ, হিদায়াত ও উপদেশের বিস্তারিত বিবরণ। এজন্যই ইসলামী জীবন বিধানে কুরআনে হাকীমের পরপরই হাদীসের স্থান।

ফটোগ্রাফের ছবি তোলা কি জায়েজ


প্রশ্নঃ আচ্ছালামু'আলাইকুম আমার প্রশ্ন হলঃ ফটোগ্রাফের ছবি তোলা কি জায়েজ আছে (আমি জানি যে কোনো প্রাণবিশিষ্ট প্রাণীর ছবি আঁকা জায়েজ নেই, কিন্তু ফটোগ্রাফ দিয়ে মানুষ বা অন্য প্রাণীর ছবির ক্ষেত্রে কি), আমাকে দয়া করে দলিল প্রমাণ সহ বলুন। আমার খুব শীঘ্রই এই তথ্য জানা দরকার ইন-শা-আল্লাহ 
উত্তরঃ সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। “তাছবীর” (আরবী শব্দ) বা ফটোগ্রাফি মানে হল জীবন্ত, নড়াচড়া করতে পারে এমন কিছুর ছবি তোলা যেমন মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি। কয়েকটি বর্ণনার ভিত্তিতে এর হুকুম হল, এটা হারাম, যেমনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’ঊদ রদিয়াল্লাহু’আনহু বর্ণনা করেছেন যে, নবী ছল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াছাল্লাম বলেছেনঃ “ যাদেরকে শেষ বিচারের দিন আল্লাহ সবচাইতে কঠিন শাস্তি দিবেন তারা হল চিত্রকর” (বর্ণনায় বুখারী, দেখুন ফাতহুল বারী, ১০/৩৮২)।